১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণ উধাও

চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার ইসলামী ব্যাংকের শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (৩ জুন) আদালতে মামলা করার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রাবেয়া বারী।

ব্যাংকটির চকবাজার শাখার প্রধান এ এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকের অভিযোগটি অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) তদন্তের অগ্রগতি ভুক্তভোগী গ্রাহককে জানানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক লকারের কী রাখছেন এবং কতটুকু রাখছেন, সে ব্যাপারে কোনো রেকর্ড রাখা হয় না। শুধুমাত্র আগ্নেয়াস্ত্র ও দাহ্য পদার্থ না রাখার ব্যপারে একটি লিখিত নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে ভুক্তভোগী গ্রাহক ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ছোট লকারের জন্য ১ লাখ টাকা, মাঝারি লকারের জন্য ২ লাখ টাকা ও বড় লকারের জন্য তিন লাখ টাকা পাবেন গ্রাহক। অর্থাৎ, ভুক্তভোগী রাবেয়া প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণ খুইয়ে পাবেন মাত্র দুই লাখ টাকা। কারণ মাঝারি আকারের লকার ছিল তার।

এর আগে, গত ২৯ মে স্বর্ণ গায়েবের বিষয়টি টের পান বলে জানান ভুক্তভোগী রাবেয়া বারী। পরে এ ঘটনায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি সামনে আসে।

রাবেয়া বারী জানান, গত ১৭ বছর ধরে ইসলামি ব্যাংকের এই শাখার লকারে ১৬০ ভরি স্বর্ণ রাখা ছিল। এর মধ্যে লকারে মাত্র ১১ ভরি স্বর্ণ পান তিনি। চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্যে ৪০ পিস হাতের বালা, গলা ও কানের জড়োয়া সেট, হার, চেইন, আংটি ও কানের দুল ছিল বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় রোকেয়া আক্তার বারী নামের এক নারী গিয়ে দেখেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ করা লকারটি খোলা। সেখানে রাখা প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেই। ওই দিন তিনি স্থানীয় চকবাজার থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলা করার পরামর্শ দেন।
চট্টগ্রামের চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘ব্যাংকের গ্রাহক এক নারীর মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক টিম নিয়ে ব্যাংকে যাই। সেখানে লকার খোলা অবস্থায় এবং ভেতরে কিছু স্বর্ণালঙ্কার আমরা দেখতে পাই। গ্রাহকের অভিযোগ প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার গায়েব হয়েছে। আমরা মামলার এজাহার জমা দিতে বলেছিলাম। এ বিষয়ে মামলা হলে আসলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

Tag :
About Author Information

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে সৌম্যর সরকারের মধ্যে

বিজ্ঞাপনের নামে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে অনলাইন টিভির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণ উধাও

আপডেট টাইম : ০২:১৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার ইসলামী ব্যাংকের শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (৩ জুন) আদালতে মামলা করার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রাবেয়া বারী।

ব্যাংকটির চকবাজার শাখার প্রধান এ এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকের অভিযোগটি অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) তদন্তের অগ্রগতি ভুক্তভোগী গ্রাহককে জানানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক লকারের কী রাখছেন এবং কতটুকু রাখছেন, সে ব্যাপারে কোনো রেকর্ড রাখা হয় না। শুধুমাত্র আগ্নেয়াস্ত্র ও দাহ্য পদার্থ না রাখার ব্যপারে একটি লিখিত নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে ভুক্তভোগী গ্রাহক ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ছোট লকারের জন্য ১ লাখ টাকা, মাঝারি লকারের জন্য ২ লাখ টাকা ও বড় লকারের জন্য তিন লাখ টাকা পাবেন গ্রাহক। অর্থাৎ, ভুক্তভোগী রাবেয়া প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণ খুইয়ে পাবেন মাত্র দুই লাখ টাকা। কারণ মাঝারি আকারের লকার ছিল তার।

এর আগে, গত ২৯ মে স্বর্ণ গায়েবের বিষয়টি টের পান বলে জানান ভুক্তভোগী রাবেয়া বারী। পরে এ ঘটনায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি সামনে আসে।

রাবেয়া বারী জানান, গত ১৭ বছর ধরে ইসলামি ব্যাংকের এই শাখার লকারে ১৬০ ভরি স্বর্ণ রাখা ছিল। এর মধ্যে লকারে মাত্র ১১ ভরি স্বর্ণ পান তিনি। চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্যে ৪০ পিস হাতের বালা, গলা ও কানের জড়োয়া সেট, হার, চেইন, আংটি ও কানের দুল ছিল বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় রোকেয়া আক্তার বারী নামের এক নারী গিয়ে দেখেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ করা লকারটি খোলা। সেখানে রাখা প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেই। ওই দিন তিনি স্থানীয় চকবাজার থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলা করার পরামর্শ দেন।
চট্টগ্রামের চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘ব্যাংকের গ্রাহক এক নারীর মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক টিম নিয়ে ব্যাংকে যাই। সেখানে লকার খোলা অবস্থায় এবং ভেতরে কিছু স্বর্ণালঙ্কার আমরা দেখতে পাই। গ্রাহকের অভিযোগ প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার গায়েব হয়েছে। আমরা মামলার এজাহার জমা দিতে বলেছিলাম। এ বিষয়ে মামলা হলে আসলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’