০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ইলিশের দাম নাগালের বাইরে

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৩৭৫ বার পঠিত

ইলিশের চাহিদা কম

প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের সকাল বেলায় ইলিশ দিয়ে পান্তা খাওয়ার যে রিতি চলে আসছে, রোজার কারণে এবার সেটা হচ্ছে না। ফলে পহেলা বৈশাখ ঘিরে বাজারে ইলিশ বিক্রিরও তেমন ভিড় নেই বললেই চলে। তবে ইলিশ কম বিক্রি হলেও দাম বেশ আকাশ ছুঁয়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছরের তুলনায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাজারে ইলিশের বেশি চাহিদা থাকে কিন্তু এবার হয়েছে উল্টো।

এবারও বাজারে ইলিশের সরবরাহ অনেক বেশি। কিন্তু রোজার মাস হওয়ায় পান্তা ইলিশ খাওয়া হবে না বলে জেনে বিক্রি নেই বাজারে।

ইলিশের দাম বেশি সম্পর্কে তাঁরা বলছেন, ইলিশের পাঁচ অভয়া শ্রমে দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বাজারে ইলিশ সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় দাম বেশি হতে পারে। তবে গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর ঢাকা কারওয়ান বাজারে গতকাল ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৫০০, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২২০০, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-১৮০০, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০-৯০০, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪০০ এবং ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের বড় মাছ ব্যবসায়ী  মাসুদ রানা বলেন, “পহেলা বৈশাখ রমজান মাসে পড়ায় এবার ইলিশের বেচাকেনা তেমন নেই। আর এখন অনেক নদ নদীতে ইলিশ ধরার ওপর সরকার পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে দাম অনেকটা বেশি। ”

ঢাকা কারওয়ান বাজারের বাইরে রাজধানীর অন্য বাজার গুলোয় আকার ভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ১৫০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর জোয়ার সাহারা বাজারে দেখা গেছে, ১ কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ১৬০০-১৭০০, দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ২২০০-২৪০০, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১,০০০, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০-৬০০ এবং ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০ টাকা।

এছাড়া মাছ ব্যবসায়ী শিপন বর্মণ বলেন, “গত দুই-তিন বছর আগের বৈশাখের আমেজ এখন আর বাজারে নেই। এ বছর রমজান মাসের কারণে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার যে প্রচল রয়েছে সেটি বন্ধ এক প্রকার। আর এখন ইলিশের সিজন নয় মুলুত। ফলে দাম তুলনামূলক বেশি। এসব কারণে বাজারে ইলিশের বিক্রি অনেকটা কম। ”

রাজধানী কারওয়ান বাজারের আসা এক ক্রেতা এহসানুল হক বলেন, “আগে পহেলা বৈশাখ আসার ৪-৫ দিন আগে থেকে বাজার ভরা থাকত ইলিশ মাছে। ফেরি করে পাড়া মহল্লায়ও ইলিশ বিক্রি করতেন বিক্রেতারা। দাম হাতের নাগালে থাকায় সব শ্রেণি পেশার মানুষ বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ খেতেন। গত কয়েক বছর রমজানের কারনে পহেলা বৈশাখের সেই আমেজ আর আগের মত নেই। এছাড়া ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।” সরকারী ভাবে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার পরও বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ইলিশের পাঁচটি অভয়া শ্রমে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে ও নদ নদীর অন্য এলাকায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ না হওয়ায় সেখান থেকে ইলিশ ধরা হচ্ছে। এসব কারণে বাজারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। আর প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ ঘিরে দুই মাস আগে থেকে ইলিশ সংরক্ষণ করেন ব্যবসায়ীরা। সেগুলোই এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে সৌম্যর সরকারের মধ্যে

চসিকের উচ্ছেদকৃত পাঁচলাইশে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নির্মিত সেই দোকানগুলো পুনরায় চালুর পায়তারা

ইলিশের দাম নাগালের বাইরে

আপডেট টাইম : ০১:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২

প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের সকাল বেলায় ইলিশ দিয়ে পান্তা খাওয়ার যে রিতি চলে আসছে, রোজার কারণে এবার সেটা হচ্ছে না। ফলে পহেলা বৈশাখ ঘিরে বাজারে ইলিশ বিক্রিরও তেমন ভিড় নেই বললেই চলে। তবে ইলিশ কম বিক্রি হলেও দাম বেশ আকাশ ছুঁয়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছরের তুলনায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাজারে ইলিশের বেশি চাহিদা থাকে কিন্তু এবার হয়েছে উল্টো।

এবারও বাজারে ইলিশের সরবরাহ অনেক বেশি। কিন্তু রোজার মাস হওয়ায় পান্তা ইলিশ খাওয়া হবে না বলে জেনে বিক্রি নেই বাজারে।

ইলিশের দাম বেশি সম্পর্কে তাঁরা বলছেন, ইলিশের পাঁচ অভয়া শ্রমে দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বাজারে ইলিশ সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় দাম বেশি হতে পারে। তবে গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর ঢাকা কারওয়ান বাজারে গতকাল ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৫০০, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২২০০, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-১৮০০, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০-৯০০, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪০০ এবং ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের বড় মাছ ব্যবসায়ী  মাসুদ রানা বলেন, “পহেলা বৈশাখ রমজান মাসে পড়ায় এবার ইলিশের বেচাকেনা তেমন নেই। আর এখন অনেক নদ নদীতে ইলিশ ধরার ওপর সরকার পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে দাম অনেকটা বেশি। ”

ঢাকা কারওয়ান বাজারের বাইরে রাজধানীর অন্য বাজার গুলোয় আকার ভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ১৫০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর জোয়ার সাহারা বাজারে দেখা গেছে, ১ কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ১৬০০-১৭০০, দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ২২০০-২৪০০, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১,০০০, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০-৬০০ এবং ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০ টাকা।

এছাড়া মাছ ব্যবসায়ী শিপন বর্মণ বলেন, “গত দুই-তিন বছর আগের বৈশাখের আমেজ এখন আর বাজারে নেই। এ বছর রমজান মাসের কারণে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার যে প্রচল রয়েছে সেটি বন্ধ এক প্রকার। আর এখন ইলিশের সিজন নয় মুলুত। ফলে দাম তুলনামূলক বেশি। এসব কারণে বাজারে ইলিশের বিক্রি অনেকটা কম। ”

রাজধানী কারওয়ান বাজারের আসা এক ক্রেতা এহসানুল হক বলেন, “আগে পহেলা বৈশাখ আসার ৪-৫ দিন আগে থেকে বাজার ভরা থাকত ইলিশ মাছে। ফেরি করে পাড়া মহল্লায়ও ইলিশ বিক্রি করতেন বিক্রেতারা। দাম হাতের নাগালে থাকায় সব শ্রেণি পেশার মানুষ বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ খেতেন। গত কয়েক বছর রমজানের কারনে পহেলা বৈশাখের সেই আমেজ আর আগের মত নেই। এছাড়া ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।” সরকারী ভাবে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার পরও বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ইলিশের পাঁচটি অভয়া শ্রমে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে ও নদ নদীর অন্য এলাকায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ না হওয়ায় সেখান থেকে ইলিশ ধরা হচ্ছে। এসব কারণে বাজারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। আর প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ ঘিরে দুই মাস আগে থেকে ইলিশ সংরক্ষণ করেন ব্যবসায়ীরা। সেগুলোই এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।