ইতিমধ্যেই ইলন মাস্ক টুইটার কেনার জন্য ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঋণ নিয়েছেন।
তবে সবচেয়ে আবাক করার বিষয় হলো ঋণ শোধ করতে শেষ পর্যন্ত তাকে কর্মী ছাঁটাই করতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও খরচ কমানোর উদ্দেশে সংস্থার কিছু উচ্চ পদস্থ কর্মীর বেতনও কমানো হতে পারে বলে সম্প্রতি ঋণ দাতা সংস্থা গুলোকে তিনি জানিয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।
আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্কের টুইটার কিনতে খরচ হয়েছে ৪৪০০ কোটি ডলার (প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা)।
এই অর্থের অধিকাংশই ব্যাংক ঋণ থেকে এসেছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, মাইক্রোব্লগিং সাইটের মালিকানা পেতে মোট ২৫৫০ কোটি ডলার ঋণ নিতে হয়েছে তাকে।
সূত্র’টি জানাচ্ছে, উপার্জন বাড়াতে টুইটারে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্যও যোগ করতে চেয়েছেন ইলন মাস্ক। তবে কোনো টুইট ভাইরাল হলে কিংবা বাইরের কোনো সংস্থা কোনো টুইট উদ্ধৃত করতে চাইলে তার জন্যও দিতে হতে পারে টাকা। সূত্র: রয়টার্স।
ইলন মাস্ক টুইটার’কে বিজ্ঞাপন নির্ভর করতে চান না। ইতিমধ্যেই ‘টুইটার ব্লু’ নামে একটি প্রিমিয়াম পরিষেবা চালু রয়েছে টুইটারে। এই পরিষেবা টি ইলন আরও জোরালো করতে চান বলে গুঞ্জন উঠেছে। পুরো বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে মাস্ক নিজের পছন্দের সিইও নিয়োগ করতে চান বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে তিনি আইন গত বাধ্য বাধকতার কারণে আপাতত সেটা সম্ভব হচ্ছে না
গত ২৫ ২০২২ এপ্রিল টুইটারের মালিকানা পান ইলন মাস্ক। ঠিক তার আগে ১৪ এপ্রিল ঋণ দাতা সংস্থা গুলোর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ঋণ শোধের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা দেন তিনি। সেখানে’ই ছাঁটাই এবং বেতন কমানোর ইঙ্গিত দেন ইলন মাস্ক।
সর্বমোট মোট ২৫৫০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে মাস্ক ১৩০০ কোটি নিয়েছেন টুইটারের মালিকানা দেখিয়ে। আর বাকি ১২৫০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছেন টেসলাতে নিজের অংশীদারিত্ব দেখিয়ে। তার ফলে অধি গ্রহণের ‘প্রভাব’ টেসলাতেও পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।