০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কোটিপতি হওয়ার ১৫টি টিপস

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ৪২২ বার পঠিত

কোটিপতি হওয়ার ৫০টি টিপস

১. শূন্য থেকে শুরু করার মন মানসিকতা তৈরি করুনঃ

বহু সফল ব্যক্তি শূন্য হাতেই তাদের প্রথম জিবনের কাজ শুরু করেছিলেন। “স্টারবাকস” প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাওয়ার্ড স্কুলজ ও গোল্ডম্যান সাক্স এর সিইও লয়েড ব্ল্যাংক ফেইন বড় হয়েছেন ঠিক এভাবেই। প্রতিযোগিতা ও সংগ্রাম করে হয়েছেন বড় নেতা।

০২. আপনার যা ভালো মনে হয় তাই করুনঃ

“অ্যাপল” এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বলেছেন, “সবচেয়ে ভালো কাজের একমাত্র উপায় হল নিজের কাজকে ভালোবাসা। আপনি যদি এটার সাদ না পেয়ে থাকেন তাহলে খুঁজতে থাকুন। নিজেকে স্থীর করবেন না।” তিনি একদম ঠিকই বলেছিলেন। আপনি যদি নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করতে থাকনে তাহলে গ্রাহকরাও আপনাকে খুঁজে বের করবে একদিন। আর এভাবে টাকাও আপনাকে খুঁজে বের করবে।

০৩. সিলিকন ভ্যালি অনুসরণ করুনঃ

যুক্তরাষ্ট্রের হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির কেন্দ্র সিলিকন ভ্যালি বহু মানুষের ভাগ্য ফিরিয়েছে। শুধু প্রধান নির্বাহীরাই নয়, বহু চাকরিজীবীও এখানে খুব ভালো আছেন। এর কারণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে বহু মানুষের সমৃদ্ধির সোপান।

০৪. নিজেই ব্যবসা শুরু করুন এবং সন্নাসীর মতো থাকুনঃ

নতুন যেকোন ব্যবসা শুরু করে নিজে একজন সন্নাসীর মতো জীবন নির্বাহ করুন। আমেরিকার অথা উন্নত বিশ্বের মিলিয়নেয়ারদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভালো অবস্থায় এসেছেন। তাদের অধিকাংশই ছোট ব্যবসা শুরু করেন এবং তাদের সামর্থের চেয়ে কম অর্থে জীবন নির্বাহ করেন। তবে তাদের সেই অর্থ তারা তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সেই সব সফল বেক্তিরা সাধারণত তারা পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাননি। তাই কোন কিছু কেনার আগে আরেকবার ভাবুন, আপনার কি নতুন গাড়ি বা দামি জিনিসটা লাগবেই?

০৫. বিজনেসে ঝুঁকি নিন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুনঃ

বেশির ভাগ মানুষ অহেতুক অথবা সাধ্যের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেলে, যা তাদের নেয়া উচিত নয়। তবে আপনি স্মার্ট ঝুঁকি নিতে পারেন, যা বাস্তবে পূরণ করা সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে চলেন। ভুল হলেও তা স্বাভাবিক থাকুন। সমস্যায় না পড়লে কেউ সামনে এগোতে পারে না।

০৬. সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করুনঃ

ইয়াহুর সিইও মেরিসা মেয়ার একজন খুবই পরিশ্রমী নারী। তিনি সপ্তাহে প্রায় ৯০ ঘণ্টা কাজ করেন। আর এলন মাস্ক দুটি প্রতিষ্ঠা চালান। একই বিষয় প্রযোজ্য ছিল স্টিভ জবসের ক্ষেত্রে। তিনি অ্যাপল ও পিক্সার চালাতেন। আপনাকে বিনিয়োগ করার মতন সাহস থাকতে হবে। আপনি যা বিনিয়োগ করবেন তার ফলাফল অবশ্যই পাবেন।

০৭. নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করুনঃ

মানুষ এটা বলে থাকে যে, সুযোগ যখন কাজের সঙ্গে মিলে যায় তখন সৌভাগ্য আসে। আমি খুব ভাগ্যবান, এ কথার পাশা-পাশি এটাও সত্য যে আমি ভাগ্য খোঁজার কাজে কখনো থামিনি। আর যখনই কোনো সুযোগের আশা আশা হারাইনি। এই কারণে অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে বাস্তব জগতের সফল মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে।

০৮. স্থিতিশীল বিবাহিত জীবনঃ

বিবাহ বন্ধন ভাঙ্গার পর বহু ধনী বেক্তির সম্পত্তি কমে গেছে। এই কারণে ধনী হওয়া ও থাকার জন্য স্থিতিশীল বিবাহিত জীবন গুরুত্বপূর্ণ।

০৯. বৈচিত্র্য আনুনঃ

বহু ধরনের ধারণা এবং কাজের বৈচিত্র্য আনুন নিজের কাজে মধ্যে। এতে করে অনেক কষ্ট ও সময় ব্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিক ভাবে কষ্ট হলেও ভবিষ্যতে এর সুফল অবশ্যই পাবেন।

১০. সর্বাত্মক চেষ্টা করুনঃ

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি সহজেই ধনী হতে পারবেন না। এই জন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো টাকা উপার্জন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর এতে যে পথগুলো সফল হবে সে পথে উপার্জন বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে।

১১. লোক দেখানো বন্ধ করুনঃ

সামান্য কিছু টাকা হলেই তা দিয়ে বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য কেনা অভ্যাস বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত টাকা না আসা পর্যন্ত দামি মোবাইল ফোন, ঘড়ি, গাড়ি ইত্যাদির পেছনে এক পয়সাও ব্যয় করা যাবে না। অর্থ ব্যয় করার বদলে তা জমিয়ে নতুন করে অর্থ উপার্জনের কাজে লাগান।

১২. বিনিয়োগ ক্ষেত্র বের করুনঃ

আপনার টাকা জমানোর মূল উদ্দেশ্য হবে তা দিয়ে যুৎসই বিনিয়োগ করা। আপনার যে টাকাটাই জমবে তাই বিনিয়োগ করার পথ খুঁজুন।

১৩. লাভ ছাড়া ঋণ নয়ঃ

সরাসরি আর্থিক লাভ হয় না, এমন ঋণ বাদ দিন। ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনতে হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে, এ থেকে কী লাভ হবে? যদি ব্যবসাক্ষেত্রে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ আনতে পারে গাড়িটি, তা হলেই কেবল তা কেনা যেতে পারে।

১৪. টাকাকে অগ্রাধিকার দিনঃ

বহু মানুষই আর্থিক স্বাধীনতা আশা করে কিন্তু একে বাস্তবে অগ্রাধিকার দেয় না। যদি বাস্তবেই টাকাকে ভালোবাসেন তা হলে সে আপনার কাছে আসবেই। তবে সে জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

১৫. বিশ্রাম বাদ দিনঃ

মানুষের মতো টাকা ঘুমায় না। এর নেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনো বিশেষ দিবস। সারা বছর একটানা কাজ করে যায় টাকা। আর তাই টাকাকে ধরতে হলে আপনারও বিশ্রামের কথা ভুলে যেতে হবে। শুধু যে বিশ্রামটুকু না করলেই নয়, তাই করতে হবে।

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে সৌম্যর সরকারের মধ্যে

চসিকের উচ্ছেদকৃত পাঁচলাইশে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নির্মিত সেই দোকানগুলো পুনরায় চালুর পায়তারা

কোটিপতি হওয়ার ১৫টি টিপস

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

১. শূন্য থেকে শুরু করার মন মানসিকতা তৈরি করুনঃ

বহু সফল ব্যক্তি শূন্য হাতেই তাদের প্রথম জিবনের কাজ শুরু করেছিলেন। “স্টারবাকস” প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাওয়ার্ড স্কুলজ ও গোল্ডম্যান সাক্স এর সিইও লয়েড ব্ল্যাংক ফেইন বড় হয়েছেন ঠিক এভাবেই। প্রতিযোগিতা ও সংগ্রাম করে হয়েছেন বড় নেতা।

০২. আপনার যা ভালো মনে হয় তাই করুনঃ

“অ্যাপল” এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বলেছেন, “সবচেয়ে ভালো কাজের একমাত্র উপায় হল নিজের কাজকে ভালোবাসা। আপনি যদি এটার সাদ না পেয়ে থাকেন তাহলে খুঁজতে থাকুন। নিজেকে স্থীর করবেন না।” তিনি একদম ঠিকই বলেছিলেন। আপনি যদি নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করতে থাকনে তাহলে গ্রাহকরাও আপনাকে খুঁজে বের করবে একদিন। আর এভাবে টাকাও আপনাকে খুঁজে বের করবে।

০৩. সিলিকন ভ্যালি অনুসরণ করুনঃ

যুক্তরাষ্ট্রের হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির কেন্দ্র সিলিকন ভ্যালি বহু মানুষের ভাগ্য ফিরিয়েছে। শুধু প্রধান নির্বাহীরাই নয়, বহু চাকরিজীবীও এখানে খুব ভালো আছেন। এর কারণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে বহু মানুষের সমৃদ্ধির সোপান।

০৪. নিজেই ব্যবসা শুরু করুন এবং সন্নাসীর মতো থাকুনঃ

নতুন যেকোন ব্যবসা শুরু করে নিজে একজন সন্নাসীর মতো জীবন নির্বাহ করুন। আমেরিকার অথা উন্নত বিশ্বের মিলিয়নেয়ারদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভালো অবস্থায় এসেছেন। তাদের অধিকাংশই ছোট ব্যবসা শুরু করেন এবং তাদের সামর্থের চেয়ে কম অর্থে জীবন নির্বাহ করেন। তবে তাদের সেই অর্থ তারা তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সেই সব সফল বেক্তিরা সাধারণত তারা পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাননি। তাই কোন কিছু কেনার আগে আরেকবার ভাবুন, আপনার কি নতুন গাড়ি বা দামি জিনিসটা লাগবেই?

০৫. বিজনেসে ঝুঁকি নিন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুনঃ

বেশির ভাগ মানুষ অহেতুক অথবা সাধ্যের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেলে, যা তাদের নেয়া উচিত নয়। তবে আপনি স্মার্ট ঝুঁকি নিতে পারেন, যা বাস্তবে পূরণ করা সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে চলেন। ভুল হলেও তা স্বাভাবিক থাকুন। সমস্যায় না পড়লে কেউ সামনে এগোতে পারে না।

০৬. সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করুনঃ

ইয়াহুর সিইও মেরিসা মেয়ার একজন খুবই পরিশ্রমী নারী। তিনি সপ্তাহে প্রায় ৯০ ঘণ্টা কাজ করেন। আর এলন মাস্ক দুটি প্রতিষ্ঠা চালান। একই বিষয় প্রযোজ্য ছিল স্টিভ জবসের ক্ষেত্রে। তিনি অ্যাপল ও পিক্সার চালাতেন। আপনাকে বিনিয়োগ করার মতন সাহস থাকতে হবে। আপনি যা বিনিয়োগ করবেন তার ফলাফল অবশ্যই পাবেন।

০৭. নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করুনঃ

মানুষ এটা বলে থাকে যে, সুযোগ যখন কাজের সঙ্গে মিলে যায় তখন সৌভাগ্য আসে। আমি খুব ভাগ্যবান, এ কথার পাশা-পাশি এটাও সত্য যে আমি ভাগ্য খোঁজার কাজে কখনো থামিনি। আর যখনই কোনো সুযোগের আশা আশা হারাইনি। এই কারণে অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে বাস্তব জগতের সফল মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে।

০৮. স্থিতিশীল বিবাহিত জীবনঃ

বিবাহ বন্ধন ভাঙ্গার পর বহু ধনী বেক্তির সম্পত্তি কমে গেছে। এই কারণে ধনী হওয়া ও থাকার জন্য স্থিতিশীল বিবাহিত জীবন গুরুত্বপূর্ণ।

০৯. বৈচিত্র্য আনুনঃ

বহু ধরনের ধারণা এবং কাজের বৈচিত্র্য আনুন নিজের কাজে মধ্যে। এতে করে অনেক কষ্ট ও সময় ব্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিক ভাবে কষ্ট হলেও ভবিষ্যতে এর সুফল অবশ্যই পাবেন।

১০. সর্বাত্মক চেষ্টা করুনঃ

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি সহজেই ধনী হতে পারবেন না। এই জন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো টাকা উপার্জন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর এতে যে পথগুলো সফল হবে সে পথে উপার্জন বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে।

১১. লোক দেখানো বন্ধ করুনঃ

সামান্য কিছু টাকা হলেই তা দিয়ে বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য কেনা অভ্যাস বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত টাকা না আসা পর্যন্ত দামি মোবাইল ফোন, ঘড়ি, গাড়ি ইত্যাদির পেছনে এক পয়সাও ব্যয় করা যাবে না। অর্থ ব্যয় করার বদলে তা জমিয়ে নতুন করে অর্থ উপার্জনের কাজে লাগান।

১২. বিনিয়োগ ক্ষেত্র বের করুনঃ

আপনার টাকা জমানোর মূল উদ্দেশ্য হবে তা দিয়ে যুৎসই বিনিয়োগ করা। আপনার যে টাকাটাই জমবে তাই বিনিয়োগ করার পথ খুঁজুন।

১৩. লাভ ছাড়া ঋণ নয়ঃ

সরাসরি আর্থিক লাভ হয় না, এমন ঋণ বাদ দিন। ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনতে হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে, এ থেকে কী লাভ হবে? যদি ব্যবসাক্ষেত্রে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ আনতে পারে গাড়িটি, তা হলেই কেবল তা কেনা যেতে পারে।

১৪. টাকাকে অগ্রাধিকার দিনঃ

বহু মানুষই আর্থিক স্বাধীনতা আশা করে কিন্তু একে বাস্তবে অগ্রাধিকার দেয় না। যদি বাস্তবেই টাকাকে ভালোবাসেন তা হলে সে আপনার কাছে আসবেই। তবে সে জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

১৫. বিশ্রাম বাদ দিনঃ

মানুষের মতো টাকা ঘুমায় না। এর নেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনো বিশেষ দিবস। সারা বছর একটানা কাজ করে যায় টাকা। আর তাই টাকাকে ধরতে হলে আপনারও বিশ্রামের কথা ভুলে যেতে হবে। শুধু যে বিশ্রামটুকু না করলেই নয়, তাই করতে হবে।