০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রিমান্ডে

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
  • ৪৩৯ বার পঠিত

ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রিমান্ডে

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিমসহ দুই জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশ্রাফ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন রেজাউল করিমের সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাট।

ঐ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার উপ পরিদর্শক শাহ আলম। মামলার শুনানি শেষে বিচারক ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

গত ২৭ এপ্রিল ২০২২ রেজাউল করিমকে (৩৮) আটক করে বাংলাদেশ র‌্যাব-১। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন রাতে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাটকেও (২৮) আটক করা হয়।  

এই সময় তাদের স্মার্ট ফোন থেকে বিপুল পরিমাণ ট্রেনের ই-টিকিট জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

বেশ কিছু দিন আগে সহজ ডটকমে দায়িত্ব পাওয়া রেজাউল এর আগে সিএনএস বিডিতেও কর্মরত ছিলেন।

গত ২৮-এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ঈদ যাত্রায় ট্রেনের টিকিটের অনেক চাহিদা থাকে। ঠিক এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালো বাজারে টিকিট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে খুব সকালে টিকিট ছাড়ার পর পরই শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এসব অভিযোগে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে আটক সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে জিজ্ঞাসা’বাদ করে। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যে টিকিট কালো বাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‌্যাব। পরে সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়।

রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে রেলওয়ে টিকেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রতি ঈদের আগে ২-৩ হাজার ট্রেনের টিকিট সরিয়ে নিতেন, যা কালো বাজারে বিক্রির মাধ্যমে পরিচিত জনদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা লাভে বিক্রি করতেন তিনি।  

এছাড়াও অন্যদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন। প্রতি ঈদ মৌসুমে আয় করতেন ১০-১২ লাখ টাকা।

About Author Information

ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ১১:৩১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিমসহ দুই জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশ্রাফ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন রেজাউল করিমের সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাট।

ঐ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার উপ পরিদর্শক শাহ আলম। মামলার শুনানি শেষে বিচারক ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

গত ২৭ এপ্রিল ২০২২ রেজাউল করিমকে (৩৮) আটক করে বাংলাদেশ র‌্যাব-১। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন রাতে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাটকেও (২৮) আটক করা হয়।  

এই সময় তাদের স্মার্ট ফোন থেকে বিপুল পরিমাণ ট্রেনের ই-টিকিট জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

বেশ কিছু দিন আগে সহজ ডটকমে দায়িত্ব পাওয়া রেজাউল এর আগে সিএনএস বিডিতেও কর্মরত ছিলেন।

গত ২৮-এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ঈদ যাত্রায় ট্রেনের টিকিটের অনেক চাহিদা থাকে। ঠিক এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালো বাজারে টিকিট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে খুব সকালে টিকিট ছাড়ার পর পরই শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এসব অভিযোগে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে আটক সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে জিজ্ঞাসা’বাদ করে। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যে টিকিট কালো বাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‌্যাব। পরে সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়।

রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে রেলওয়ে টিকেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রতি ঈদের আগে ২-৩ হাজার ট্রেনের টিকিট সরিয়ে নিতেন, যা কালো বাজারে বিক্রির মাধ্যমে পরিচিত জনদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা লাভে বিক্রি করতেন তিনি।  

এছাড়াও অন্যদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন। প্রতি ঈদ মৌসুমে আয় করতেন ১০-১২ লাখ টাকা।