১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

ডেঙ্গু–চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে একযোগে কাজ করবে চসিক ও এমএসএফ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এখন নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ বিষয়ে কার্যকর ও বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ গ্রহণে চসিক এবং সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল (এমএসএফ) ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা আমাদের এ লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে এক বৈঠকে এমএসএফ–এর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে সম্ভাব্য ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম, প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ এবং যৌথ সহযোগিতার রূপরেখা উপস্থাপন করেন। সভায় এমএসএফ তাদের বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া অভিজ্ঞতা, বিশেষত এডিসবাহিত রোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ, নজরদারি এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় তুলে ধরে।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু চট্টগ্রামের জন্য বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরবাসীর জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা সারা বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আন্তর্জাতিক সংস্থা এমএসএফ-এর বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা আমাদের কর্মপরিকল্পনাকে আরও বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও কার্যকর করবে।” তিনি আরও জানান, চসিক মাঠপর্যায়ে মশার ঘনত্ব জরিপ, হটস্পট চিহ্নিতকরণ, লার্ভা নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থায় নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি বিবেচনা করছে।
সভায় এমএসএফ প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ডেটা অ্যানালাইসিস, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রস্তুতি, ভেক্টর কন্ট্রোল স্ট্র্যাটেজি, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার সম্ভাব্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়ে একটি টেকসই ও গবেষণাভিত্তিক ডেঙ্গু প্রতিরোধ কাঠামো গড়ে তোলার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কেবল চসিকের একার দায়িত্ব নয়; এটি সম্মিলিত সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টা। এমএসএফ-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবিক স্বাস্থ্যসংস্থা পাশে দাঁড়ানো আমাদের বড় সাফল্য এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন এমএসএফ এর রিজিওনাল অপারেশনাল ডিরেক্টর পল ব্রকম্যান, রিজিওনাল হেলথ ডিরেক্টর ড. মার্ক শারলক, কান্ট্রি ডিরেক্টর, মাইকে হারসভোর্ট, চিফ অব হেলথ ড. কারমেনজা গালভেজ, ডেপুটি চিফ অব হেলথ, ড. রেজওয়ান মাসুম,, হেড অব ডেঙ্গু রেসপন্স দিনালি ডি জয়সা।

সভায় চসিকের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি, চলমান কর্মসূচি এবং নতুন অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, টেকনিক্যাল সহযোগিতা, যৌথ কর্মসূচি এবং নাগরিকদের জন্য দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হন। চসিক ও এমএসএফ-এর এই যৌথ উদ্যোগ চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে সৌম্যর সরকারের মধ্যে

বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও অদম্য নারী পুরস্কার প্রদান

ডেঙ্গু–চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে একযোগে কাজ করবে চসিক ও এমএসএফ

আপডেট টাইম : ০৭:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এখন নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ বিষয়ে কার্যকর ও বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ গ্রহণে চসিক এবং সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল (এমএসএফ) ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা আমাদের এ লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে এক বৈঠকে এমএসএফ–এর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে সম্ভাব্য ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম, প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ এবং যৌথ সহযোগিতার রূপরেখা উপস্থাপন করেন। সভায় এমএসএফ তাদের বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া অভিজ্ঞতা, বিশেষত এডিসবাহিত রোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ, নজরদারি এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় তুলে ধরে।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু চট্টগ্রামের জন্য বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরবাসীর জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা সারা বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আন্তর্জাতিক সংস্থা এমএসএফ-এর বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা আমাদের কর্মপরিকল্পনাকে আরও বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও কার্যকর করবে।” তিনি আরও জানান, চসিক মাঠপর্যায়ে মশার ঘনত্ব জরিপ, হটস্পট চিহ্নিতকরণ, লার্ভা নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থায় নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি বিবেচনা করছে।
সভায় এমএসএফ প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ডেটা অ্যানালাইসিস, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রস্তুতি, ভেক্টর কন্ট্রোল স্ট্র্যাটেজি, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার সম্ভাব্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়ে একটি টেকসই ও গবেষণাভিত্তিক ডেঙ্গু প্রতিরোধ কাঠামো গড়ে তোলার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কেবল চসিকের একার দায়িত্ব নয়; এটি সম্মিলিত সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টা। এমএসএফ-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবিক স্বাস্থ্যসংস্থা পাশে দাঁড়ানো আমাদের বড় সাফল্য এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন এমএসএফ এর রিজিওনাল অপারেশনাল ডিরেক্টর পল ব্রকম্যান, রিজিওনাল হেলথ ডিরেক্টর ড. মার্ক শারলক, কান্ট্রি ডিরেক্টর, মাইকে হারসভোর্ট, চিফ অব হেলথ ড. কারমেনজা গালভেজ, ডেপুটি চিফ অব হেলথ, ড. রেজওয়ান মাসুম,, হেড অব ডেঙ্গু রেসপন্স দিনালি ডি জয়সা।

সভায় চসিকের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি, চলমান কর্মসূচি এবং নতুন অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, টেকনিক্যাল সহযোগিতা, যৌথ কর্মসূচি এবং নাগরিকদের জন্য দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হন। চসিক ও এমএসএফ-এর এই যৌথ উদ্যোগ চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।