১২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আমির-কিরণের সংসারে ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন অন্তরঙ্গ বন্ধু আমিন হাজি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • ৫৪৪ বার পঠিত

আমির-কিরণের সংসারে ভাঙন

‘লগান’ সিনেমা চলাকালীন তৎকালীন আমির খানের (Aamir Khan) স্ত্রী রিনা দত্তের (Reena Dutta) সহকারী ছিলেন কিরণ রাও (Kiran Rao)। সেই ছবির সেট থেকেই কিরণের সঙ্গে আলাপ আমিরের। ১ বছর লিভ-ইন রিলেশনশিপের পর ২০০৫ সালে বিয়ে। শনিবার সকালে সেই ১৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে ইতি টানার কথা যৌথভাবে ঘোষণা করলেন আমির খান ও কিরণ রাও। মা-বাবা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পার্টনার হিসেবে দু’জনেই যৌথ দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

বর্তমানে আমির ও কিরণ  তাঁদের সন্তান আজাদের সঙ্গে কার্গিলে রয়েছেন। সেখান থেকেই বিবৃতি জারি করে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন তাঁরা তারা। অনুরাগীরা তো বটেই, এমনকী, দুই তরফের আত্মীয়-স্বজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরাও তারকাদম্পতির এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন আমির খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমিন হাজি (Ameen Haji)। যিনি কিনা লগান-এও মিস্টার পারফেকশনিস্টের সহ-অভিনেতা ছিলেন। আবার পরস্পরের বিয়েতে আমির ও হাজি একে-অপরের ‘বেস্ট ম্যান’ও হয়েছিলেন।

এছাড়া হাজি জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার বেশ কিছুদিন ধরেই আমির এবং কিরণের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানতেন। একাধিকবার দুই পক্ষকে এক সাথে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই কার্গিল থেকে বিবৃতি জারি করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন আমির-কিরণ, সেকথা তাঁরা কেউই ভাবতে পারেননি। হাজি বলছেন, এই খবরটা এখনও মানতে পারছেন না। এমনকী, বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পর কার্গিল থেকে আমির ও আজাদের সঙ্গে একফ্রেমে ছবি তুলে সেটা হাজিকে পাঠিয়েওছেন কিরণ রাও। সেই ছবি নিয়েই আমিরের অন্তরঙ্গ বন্ধু হাজি এখন তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন যে, ওঁরা এভাবেই থাকবেন। একসঙ্গে। শুধু ওঁদের বৈবাাহিক সম্পর্ক থাকবে না।”

এরই মধ্যে হাজি জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এ ও জানিয়েছেন যে, “আমির-কিরণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। জানি, কোনও হঠকারিতায় নয়, ওঁরা অনেক ভেবেচিন্তেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। কখনও কখনও দু’জন ভাল মানুষ পরস্পরের পরিপূরক হন না। আফশোস হয়, যদি কখনও এটা ওঁদের বোঝাতে পারতাম যে, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তোমরা নিতে পার না।

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে সৌম্যর সরকারের মধ্যে

বিজ্ঞাপনের নামে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে অনলাইন টিভির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

আমির-কিরণের সংসারে ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন অন্তরঙ্গ বন্ধু আমিন হাজি

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

‘লগান’ সিনেমা চলাকালীন তৎকালীন আমির খানের (Aamir Khan) স্ত্রী রিনা দত্তের (Reena Dutta) সহকারী ছিলেন কিরণ রাও (Kiran Rao)। সেই ছবির সেট থেকেই কিরণের সঙ্গে আলাপ আমিরের। ১ বছর লিভ-ইন রিলেশনশিপের পর ২০০৫ সালে বিয়ে। শনিবার সকালে সেই ১৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে ইতি টানার কথা যৌথভাবে ঘোষণা করলেন আমির খান ও কিরণ রাও। মা-বাবা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পার্টনার হিসেবে দু’জনেই যৌথ দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

বর্তমানে আমির ও কিরণ  তাঁদের সন্তান আজাদের সঙ্গে কার্গিলে রয়েছেন। সেখান থেকেই বিবৃতি জারি করে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন তাঁরা তারা। অনুরাগীরা তো বটেই, এমনকী, দুই তরফের আত্মীয়-স্বজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরাও তারকাদম্পতির এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন আমির খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমিন হাজি (Ameen Haji)। যিনি কিনা লগান-এও মিস্টার পারফেকশনিস্টের সহ-অভিনেতা ছিলেন। আবার পরস্পরের বিয়েতে আমির ও হাজি একে-অপরের ‘বেস্ট ম্যান’ও হয়েছিলেন।

এছাড়া হাজি জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার বেশ কিছুদিন ধরেই আমির এবং কিরণের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানতেন। একাধিকবার দুই পক্ষকে এক সাথে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই কার্গিল থেকে বিবৃতি জারি করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন আমির-কিরণ, সেকথা তাঁরা কেউই ভাবতে পারেননি। হাজি বলছেন, এই খবরটা এখনও মানতে পারছেন না। এমনকী, বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পর কার্গিল থেকে আমির ও আজাদের সঙ্গে একফ্রেমে ছবি তুলে সেটা হাজিকে পাঠিয়েওছেন কিরণ রাও। সেই ছবি নিয়েই আমিরের অন্তরঙ্গ বন্ধু হাজি এখন তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন যে, ওঁরা এভাবেই থাকবেন। একসঙ্গে। শুধু ওঁদের বৈবাাহিক সম্পর্ক থাকবে না।”

এরই মধ্যে হাজি জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এ ও জানিয়েছেন যে, “আমির-কিরণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। জানি, কোনও হঠকারিতায় নয়, ওঁরা অনেক ভেবেচিন্তেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। কখনও কখনও দু’জন ভাল মানুষ পরস্পরের পরিপূরক হন না। আফশোস হয়, যদি কখনও এটা ওঁদের বোঝাতে পারতাম যে, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তোমরা নিতে পার না।