০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

দুই-একজন ছাড়া আমরা কেউ স্পিনে অতটা ভালো প্লেয়ার না : মুমিনুল

  • স্পোর্ট ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ১১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • ৬৩১ বার পঠিত

কেউ স্পিনে অতটা ভালো প্লেয়ার না : মুমিনুল

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে কেশব মহারাজ ও সায়মন হার্মারের স্পিনে #নাকানিচোবানি খেল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। স্পিনের দেশের ক্রিকেটার হয়েও কেনো এই দুরবস্থা ব্যাটারদের? মুমিনুল দেখালেন দুই দেশের স্পিনারদের মধ্যে পার্থক্য।

উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের যদি কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তাঁরা কীসে পারদর্শী? তাঁতে উত্তর আসবে স্পিনেই। বর্তমান সময়ে তাল মিলিয়ে পেস টাকে ও ভালোভাবে সামাল দেওয়া শিখেছেন ব্যাটাররা।

তবে বাংলাদেশকে যেখানে স্পিনারদের তীর্থভূমি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় সেই দেশের ব্যাটাররা স্পিনে কাত হয়েছে। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্যি। ডারবানের মতো পোর্ট এলিজাবেথেও মহারাজ রাজত্ব করেছেন।

তার সামনে অসহায় ছিলেন মুমিনুলরা।

কিন্তু স্পিনারদের দেশের ক্রিকেটার হয়েও কেনো এই হাল বাংলাদেশের ব্যাটারদের? বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুলের সহজ স্বীকারোক্তি। এখনও স্পিনটাই রপ্ত করতে পারেননি সব ব্যাটাররা।

“আগে থেকে সবাই জানেন যে দুই এক জন প্লেয়ার ছাড়া আমরা স্পিন বলে অতটা ভালো প্লেয়ার না। হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে কিন্তু আমার কাছে এটাই মনে হয়। স্পিন খেলে বাট কোন দিক দিয়ে খেলতে হবে ওইটা আমরা বুঝি না। এসব জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।”

পোর্ট এলিজাবেথে যেখানে #মহারাজ ও হার্মার বাউন্স, টার্ন পাচ্ছিলেন সে তুলনায় মিরাজ ও তাইজুল সেভাবে পাননি। মুমিনুলের চোখে দুই দলের স্পিনারদের মধ্যে পার্থক্য সাইড-স্পিন ও ওভার-স্পিন। ওভার স্পিন করতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা পারেননি বলে নিশ্চিত করেছেন মুমিনুল।

“দেখুন আমাদের দেশের উইকেটের সঙ্গে এখানকার #উইকেটের অনেক পার্থক্য আছে। উপমহাদেশের উইকেটে যারা বোলিং করে তাঁদের সাইড স্পিন বলে একটা কথা আছে। যে সাইড-স্পিন আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়।
এসব #জায়গায় সাইড-স্পিন বেশি কাজে দেয় না, ওভার-স্পিন অনেক ইউজফুল।”

“আমাদের দেশের বোলাররা কন্ডিশনের (দেশের উইকেট) কারণে সাইড-স্পিন করে। ওভারস্পিন করতে হলে টেকনিকে অনেক পরিবর্তন করতে হয় যা এখানে এসে দুই-একদিনে সম্ভব নয়। যদিও বা করে তখন আগের টেকনিকে ক্ষতি হয়। এ কারণে হয়তোবা পারছে না (ব্যাটাররা)।”

দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটেই নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার মহারাজ ও হার্মার। ডারবানের মতো পোর্ট এলিজাবেথেও ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। ওই তুলনায় দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা যেখানে নিয়েছেন ১২ উইকেট সেখানে হার্মার ও মহারাজ মিলে নিয়েছেন ১৫টি।

About Author Information

দুই-একজন ছাড়া আমরা কেউ স্পিনে অতটা ভালো প্লেয়ার না : মুমিনুল

আপডেট টাইম : ১১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে কেশব মহারাজ ও সায়মন হার্মারের স্পিনে #নাকানিচোবানি খেল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। স্পিনের দেশের ক্রিকেটার হয়েও কেনো এই দুরবস্থা ব্যাটারদের? মুমিনুল দেখালেন দুই দেশের স্পিনারদের মধ্যে পার্থক্য।

উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের যদি কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তাঁরা কীসে পারদর্শী? তাঁতে উত্তর আসবে স্পিনেই। বর্তমান সময়ে তাল মিলিয়ে পেস টাকে ও ভালোভাবে সামাল দেওয়া শিখেছেন ব্যাটাররা।

তবে বাংলাদেশকে যেখানে স্পিনারদের তীর্থভূমি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় সেই দেশের ব্যাটাররা স্পিনে কাত হয়েছে। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্যি। ডারবানের মতো পোর্ট এলিজাবেথেও মহারাজ রাজত্ব করেছেন।

তার সামনে অসহায় ছিলেন মুমিনুলরা।

কিন্তু স্পিনারদের দেশের ক্রিকেটার হয়েও কেনো এই হাল বাংলাদেশের ব্যাটারদের? বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুলের সহজ স্বীকারোক্তি। এখনও স্পিনটাই রপ্ত করতে পারেননি সব ব্যাটাররা।

“আগে থেকে সবাই জানেন যে দুই এক জন প্লেয়ার ছাড়া আমরা স্পিন বলে অতটা ভালো প্লেয়ার না। হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে কিন্তু আমার কাছে এটাই মনে হয়। স্পিন খেলে বাট কোন দিক দিয়ে খেলতে হবে ওইটা আমরা বুঝি না। এসব জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।”

পোর্ট এলিজাবেথে যেখানে #মহারাজ ও হার্মার বাউন্স, টার্ন পাচ্ছিলেন সে তুলনায় মিরাজ ও তাইজুল সেভাবে পাননি। মুমিনুলের চোখে দুই দলের স্পিনারদের মধ্যে পার্থক্য সাইড-স্পিন ও ওভার-স্পিন। ওভার স্পিন করতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা পারেননি বলে নিশ্চিত করেছেন মুমিনুল।

“দেখুন আমাদের দেশের উইকেটের সঙ্গে এখানকার #উইকেটের অনেক পার্থক্য আছে। উপমহাদেশের উইকেটে যারা বোলিং করে তাঁদের সাইড স্পিন বলে একটা কথা আছে। যে সাইড-স্পিন আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়।
এসব #জায়গায় সাইড-স্পিন বেশি কাজে দেয় না, ওভার-স্পিন অনেক ইউজফুল।”

“আমাদের দেশের বোলাররা কন্ডিশনের (দেশের উইকেট) কারণে সাইড-স্পিন করে। ওভারস্পিন করতে হলে টেকনিকে অনেক পরিবর্তন করতে হয় যা এখানে এসে দুই-একদিনে সম্ভব নয়। যদিও বা করে তখন আগের টেকনিকে ক্ষতি হয়। এ কারণে হয়তোবা পারছে না (ব্যাটাররা)।”

দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটেই নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার মহারাজ ও হার্মার। ডারবানের মতো পোর্ট এলিজাবেথেও ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। ওই তুলনায় দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা যেখানে নিয়েছেন ১২ উইকেট সেখানে হার্মার ও মহারাজ মিলে নিয়েছেন ১৫টি।